
ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জের ইকুরিয়া বিআরটিএ অফিসে কর্মরত একজন কর্মকর্তা, স্থানীয়ভাবে আওয়ামীলীগের দোসর এডি মামুন নামে পরিচিত, তার বিরুদ্ধে স্থানীয় সূত্র ও কয়েকজন ড্রাইভারের তীব্র অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগগুলোর মূল বিষয় হলো — লাইসেন্সপ্রাপ্ত ড্রাইভারদের কাছ থেকে নিয়মিত ঘুষ নেওয়া, দালাল নেটওয়ার্ক পরিচালনা এবং বিভিন্ন সরকারি সেবায় অনৈতিক অর্থ লেনদেন। স্থানীয়দের কথায়, এসব কর্মকাণ্ড দীর্ঘদিন ধরে চলমান একটি চর্চা।
এক প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানান, “লাইসেন্স বা গাড়ির রেজিস্ট্রেশন করানোর সময় নানা অজুহাতে অর্থ আদায় করা হয়। এমনকি ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করে মাদক সেবনের বিষয়ে নকল রিপোর্ট দেখিয়ে লাইসেন্স দেওয়া হয়। আমরা বারবার এইসব অনিয়ম দেখেছি।”
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে যে মালিকানা পরিবর্তন, নাম্বার প্লেট, ড্রাইভিং লার্নার কার্ড ইত্যাদি সেবার জন্য নির্দিষ্ট হার অনুযায়ী অর্থ নেওয়া হয়। এসব অর্থ কিস্তিতে বা অফিসের ক্যাশিয়ারের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়। আওয়ামীলীগের দোসর এডি মামুনের একটি বিশাল দালাল বাহিনী রয়েছে, যাদের মাধ্যমে এই সিন্ডিকেট পরিচালিত হয়।
স্থানীয় সূত্র আরও জানিয়েছে, আওয়ামীলীগের দোসর এডি মামুন মাদক সেবনের গুঞ্জনেও জড়িত।
অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামীলীগের দোসর এডি মামুন উভয় বিষয়ই অস্বীকার করে বলেন, “এই অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও প্রতিপক্ষের কুপ্রচেষ্টা। আমি সরকারি নিয়মনীতি মেনে আমার দায়িত্ব পালন করছি। যারা সুবিধা না পেয়ে ক্ষিপ্ত, তারা মিথ্যাচার ছড়াচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে যদি কোনো প্রামাণ্য অভিযোগ থাকে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তা আনা হলে কোনো আপত্তি নেই।”
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ অনুযায়ী, আওয়ামীলীগের দোসর এডি মামুনের মাধ্যমে পরিচালিত এই
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ সোহেল চৌধুরী; অফিস: ফিরোজ মার্কেট ২য় তলা, শাপলা চত্বর টেকনাফ। মোবাইল ০১৩২৩৯৩৫৮৬৬
দৈনিক ঢাকার অপরাধ দমন