
মোঃআনজার শাহ
কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার মন্দুক গ্রামের সন্তান রশিদ আহমেদ মিলন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে সততা, দক্ষতা এবং ন্যায়বোধের জন্য সহকর্মী থেকে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত সবার আস্থার জায়গায় তিনি জায়গা করে নিয়েছেন। নতুন দায়িত্ব পেলে কক্সবাজারের সাধারণ মানুষের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথ আরও সুসংহত হবে—এমন প্রত্যাশা স্থানীয়দের।
১৯৮১ সালের ৩১ ডিসেম্বর জন্ম নেওয়া রশিদ আহমেদ মিলন ছয় ভাইবোনের মধ্যে চতুর্থ। পিতা এ কে এম সিরাজুল ইসলাম, যিনি সিরাজ মেম্বার নামে পরিচিত, এবং মাতা ছায়েরা আক্তারের স্নেহ-শিক্ষায় বড় হয়েছেন তিনি। সোনাইমুড়ী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও পয়ালগাছা ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি শেষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
২০১০ সালে সহকারী জজ হিসেবে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসে তিনি যোগ দেন। এরপর মৌলভীবাজারে সহকারী জজ, হবিগঞ্জে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মেহেরপুরে সিনিয়র সহকারী জজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, চট্টগ্রামে সিনিয়র সহকারী জজ এবং সুনামগঞ্জে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ সিলেটে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় তিনি পদোন্নতি লাভ করেন।
এটাই মূল কথা: তার নতুন দায়িত্ব সাধারণ মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার গতি আরও বাড়াতে পারে। কক্সবাজার একটি চাহিদাসম্পন্ন বিচারিক এলাকা—বহুল জনসংখ্যা, সামাজিক-অর্থনৈতিক বৈচিত্র্য এবং জটিল মামলা ব্যবস্থাপনা এখানে প্রতিদিনের চ্যালেঞ্জ। অভিজ্ঞ একজন জজ যোগ দিলে বিচারপ্রক্রিয়া আরও গতিশীল হবে, এমনটাই মনে করছেন আইনজীবী মহল।
স্থানীয়রা বলছেন, অভিজ্ঞ বিচারকদের উপস্থিতিতে মামলার জট কমে, শুনানি হয় নিয়মিত, আর বিচারপ্রার্থীরা পায় অধিক স্বস্তি। কক্সবাজারের মতো পর্যটন ও সীমান্ত শহরে দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়া শুধু নাগরিক সেবা নয়, আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতেও গুরুত্বপূর্ণ।
পরিবারের সদস্যরা জানান, তিনি সব সময় দায়িত্বকে প্রাধান্য দিয়েছেন এবং জনসেবাকে জীবনের মূল লক্ষ্য মনে করেন। নতুন দায়িত্ব তার কর্মযাত্রাকে আরেক ধাপ এগিয়ে নেবে—এমনটিই তাদের আশা।
রশিদ আহমেদ মিলনের পদোন্নতি শুধু ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বরং বরুড়া ও কুমিল্লা জেলার মানুষের জন্য গর্বের বিষয়। কক্সবাজারে যোগদান করে তিনি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সেই দীর্ঘ পথচলায় নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ সোহেল চৌধুরী; অফিস: ফিরোজ মার্কেট ২য় তলা, শাপলা চত্বর টেকনাফ। মোবাইল ০১৩২৩৯৩৫৮৬৬
দৈনিক ঢাকার অপরাধ দমন