
নিজস্ব প্রতিবেদক:
গাজীপুর সদর, কালিয়াকৈর, শ্রীপুর, কাপাসিয়া ও কালীগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত গাজীপুর জেলা।
জেলায় শিল্পকারখানা স্থাপন এবং আবাসন খাতে প্রতি বছরই ফসলী জমি কমছে। এখানে শিল্পকারখানায় কর্মসংস্থানের কারণে বহিরাগত লোকের সংখ্যাও অনেক। তাই বিশাল এ জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা জেলায় উৎপাদিত খাদ্যে মেটানো সম্ভব হয়না বিধায় এটি একটি খাদ্য ঘাটতি জেলা হিসেবেও পরিচিত।
তবুও এ ঘাটতি পূরণে দিন-রাত কৃষকের পাশে থেকে পরিশ্রম করে যাচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর গাজীপুর এর প্রতিটি কর্মকর্তা।
তারা মাঠের পর মাঠ কৃষকের হাতে হাত মিলিয়ে সোনালি ফসলের স্বপ্ন বুনে যাচ্ছেন, আধুনিক প্রযুক্তি, গবেষণা ও পরিশ্রম দিয়ে কৃষকের জীবন বদলে দিচ্ছেন এবং গাজীপুরসহ দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে যাচ্ছেন।
কৃষিকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে চেষ্টা করে যাচ্ছে সবসময়।
গাজীপুরে জেলার কৃষি কর্মকাণ্ডের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম খান। তার নেতৃত্বে গাজীপুরের কৃষিতে সাফল্য এখন দৃশ্যমান। উত্তম কৃষি চর্চার মাধ্যমে সফল হচ্ছেন কৃষকরা। তার নজরদারি ও নির্দেশনায় প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা এখন হাতের নাগালেই পাচ্ছেন কৃষি বিষয়ক সেবা ও পরামর্শ। জেলার সকল উপজেলাতেই সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন কৃষি উদ্যোক্তার। বেড়েছে পারিবারিক পুষ্টি বাগানের সংখ্যাও।
একসময় এ জেলার মানুষেরা প্রবাসে বেশি যেত কিন্তু এখন এখানে অনেক শিক্ষিত ও বেকার যুবকরা কৃষিতে যুক্ত হচ্ছেন। কৃষির প্রতি এখানকার মানুষের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। সচেতন কৃষকরা বলছেন, এসব কিছুই সম্ভব হচ্ছে উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম খানের বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে।
স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, গাজীপুরের সব উপজেলায় উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে কৃষি খাতের সফলতা আধুনিক প্রযুক্তি, সঠিক পরিকল্পনা এবং কৃষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে, যেমন আধুনিক ফল ও সবজি উৎপাদন এবং রপ্তানি।
তিনি প্রযুক্তিগত পরামর্শ, উন্নত বীজ ও সার ব্যবহার এবং সঠিক সময়ে ফসল কাটার মতো বিষয়গুলোতে কৃষকদের সহায়তা করে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং বাজারজাতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। ফসল উৎপাদনে বালাইনাশকের যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিত এবং পরিবেশ দুষনমুক্ত রাখতে আইপিএম প্রযুক্তি প্রয়োগেও উৎসাহিত করে যাচ্ছেন তিনি।
অনেকেই বলছেন, গাজীপুরে অসংখ্য কৃষক, তরুণ উদ্যোক্তাদের হাত দিয়েই রচিত হচ্ছে কৃষি খাতের নানারকম সফল ঘটনা। এসব সাফল্য যে শুধু বাণিজ্যের মোহে ঘটছে তা বলা যাবে না, বরং মাটি আর ফল-ফসলকে ভালোবেসেই তারা কৃষিতে যুক্ত হয়ে দৃষ্টান্ত গড়ছেন। সবকিছু সম্ভব হচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর গাজীপুরের সার্বিক সহযোগিতা ও সঠিক পরামর্শে।
বিভিন্ন উপজেলায় কর্মরত কৃষি কর্মকর্তারা জানান, উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম খান সবসময় তাদের গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের খোঁজ খবরও নেন তিনি। কৃষকরা যাতে উপজেলা কৃষি অফিস এবং মাঠ পর্যায়ে সকল সেবা পান সে বিষয়ে তিনি সবসময় তদারকি করেন।
এদিকে গাজীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম খান বলেন, গাজীপুর এখন কৃষিতে অনেক এগিয়ে। আমরা কৃষকদের নানাভাবে সহযোগিতা করছি। প্রতিটি কৃষক পরিবারের সকল সদস্য তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী যেনও সেবা পেতে পারে সে বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে দেখি। কৃষিজমি কমে যাওয়া এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধি সত্ত্বেও, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, উন্নত মানের বীজ ও সার এবং কৃষকদের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে গাজীপুরে কৃষির সফলতা দিন দিন দৃশ্যমান হচ্ছে। কৃষকের যেকোনো প্রয়োজনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পাশে রয়েছে।