
স্টাফ রিপোর্টার জামাল হোসেন
ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা ও অসত্য তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জনাব মরিয়ম বেগম।
রবিবার (৮ই সেপ্টেম্বর ) বিকালে যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এডহক কমিটির সভাপতি ও শিক্ষকগন।
অধ্যক্ষ জনাব মরিয়ম বেগম লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি দীর্ঘদিন সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করে আসছি । গত প্রায় ১০ বছর এই স্কুলে চাকুরীকালীন আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ছিলনা।
হঠাৎ একটি চক্র ও আমার স্কুলের প্রাথমিক শাখার সহকারী শিক্ষক জনাব সৈয়দা আরিফুন নাহার, সাবেক প্রধান শিক্ষক জনাব মো: মনিরুজ্জামান হাওলাদার, সহকারী শিক্ষক জনাব হোসেন আফরোজ আরা শিল্পী, সহকারী শিক্ষক হাসনা খানমসহ কতিপয় বিপথগামী শিক্ষক আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের ছক আকতে থাকেন। তারা 5 আগস্টের পর মব সৃষ্টি করে অধ্যক্ষের কক্ষে থাকা আলমারি ভেঙ্গে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন নথি, 03টি ল্যাপটপ, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায় যার ভিডিও সংরক্ষন করা আছে।
ভিডিওটি দেখে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটি প্রাথমিক শাখার সহকারী শিক্ষক সৈয়দা আরিফুন নাহারকে দু দুবার শোকজ করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে এসব মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে আমাকে হয়রানি ও মিডিয়াকে অসত্য তথ্য দিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে আমার প্রতিষ্ঠান ও আমাকে হেও করার চেষ্টা করেছে ফলে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। অপরদিকে সাবেক প্রধান শিক্ষক জনাব মো: মনিরুজ্জামান হাওলাদারের অনিয়ম ও দূনীতির কারনে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর(মাউশি) কর্তৃক তাকে দায়িত্ব হতে অব্যাহতি প্রদান করার পর তিনি রাগের বশবর্তি হয়ে তার অনুগত শিক্ষকদের মাধ্যমে এখনো প্রতিষ্ঠানে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। ডিআইএ কর্তৃক তদন্ত রিপোর্টে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মসহ তিনকোটি উনিশ লক্ষ টাকা আত্নস্যাৎতের বিষয়ে রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন।
তিনি এসব ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা অভিযোগ ও সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সেই সাথে তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগের নিরপেক্ষ ও সঠিক তদন্তেরও দাবি জানান সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে।